অনেকেই সকালটা শুরু করেন এক কাপ ধোঁয়া ওঠা কফি বা চায়ের সঙ্গে। এতে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। তাই দিনটা শুরু হোক এক গ্লাস গরম পানিতে দুই চামচ লেবুর রস দিয়ে।
সকালে লেবু-পানি পানের স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নিন…
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
এই পানীয়টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।ঠান্ডা কাশির সময় এই পানীয়টি পান করতে পারেন।
ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে লেবু ও মধুর মিশ্রণ পান ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। দুই থেকে তিন সপ্তাহ এটি পান করলে ত্বক অনেক পরিষ্কার হয়।
শরীর পরিশোধিত করে
লেবু ও মধুর মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী পরিশোধীকরণ উপাদান। প্রতিদিন সকালে এটি পান শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে কাজ করে।
শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা দূর করে
এক গ্লাস হালকা গরম পানির সঙ্গে এক চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে ঘন কফ ও শ্লেষ্মা খুব সহজেই শিথিল হয়ে বের হয়ে আসবে। তাছাড়া এই পানীয় নাক সংক্রান্ত যেকোন সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে উপশম করতে সাহায্য করে
গলাব্যথা কমায়
মধুর মধ্যে থাকা প্রদাহরোধী ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের কারণে এটি গলাব্যথা কমাতে উপকারী।
হজমনালী ঠিক রাখতে
এক গ্লাস পানির সঙ্গে এক চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তাজা লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে আলসার, উচ্চমাত্রার অ্যাসিডিটি ও বদহজম জনিত সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। তাছাড়া পানীয়টি ত্বকের পিএইচ লেভেল স্বাভাবিক রাখতে এবং যকৃতের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতেও সহায়তা করে।
বিষাক্ত পদার্থ দূর করে
লেবুপানি ও মধু একত্রে খাওয়া শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান এবং লেবুর সাইট্রিক এসিড শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে উপকারী।
কীভাবে তৈরি করবেন মধু-লেবুর পানীয়
এক কাপ পানিকে গরম করুন। এরপর পানি চুলা থেকে নামিয়ে হালকা গরম হয়ে এলে এতে এক চা চামচ মধু এবং দুই চা চামচ লেবুর রস দিন। এর পর মিশ্রণটি পান করুন।
কখন খাবেন
সাধারণত সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে বা রাতে ঘুমানোর আগে এই পানীয় পান করা যেতে পারে। এ ছাড়া দিনের অন্য যেকোনো সময়ও পান করা যেতে পারে। এতে ক্যালরি অনেক কম থাকে। সাধারণত ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ চা চামচ লেবুর রস এবং ১ বা ১/২ চা–চামচ মধু (ক্যালরিভেদে) মিশিয়ে এই পানীয় তৈরি করা হয়।